লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে একটি আবাসিক ভবনে হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজার উত্তরাঞ্চলীয় বেইত লাহিয়া এলাকায় একটি বহুতল আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় এত দিনে কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ইসরায়েল ঘোষিত মানবিক অঞ্চলের একটি অস্থায়ী ক্যাফেটেরিয়ায় ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
গাজা ভূখন্ডের উত্তরাঞ্চলে বেইত লাহিয়া এলাকার একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৭৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
ফিলিস্তিনের গাজা ও লেবাননের বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় শরণার্থীশিবির হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ও আরেকটি আশ্রয়শিবিরে ১৩ জন ও বৈরুতে বড় একটি সরকারি হাসপাতালে চারজন নিহত হয়েছেন।
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৪১২। আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৮৫ জনে।
ফিলিস্তিনের গাজা শহরের একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর দুই কমান্ডার নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার এ দাবি করেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ হলো বৈরুতের বিমানবন্দর বর্তমানে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য অনিরাপদ। আমরা বাংলাদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে বিকল্প স্থান খোঁজার পরামর্শ দিয়েছি।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে। বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলীতে এসব হামলা হয়েছে।
লেবাননে ইসরায়েলের হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ দাঁড়িয়েছে।লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত